ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫ , ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
দেড় বছরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মালয়েশিয়া ফেরত পাঠানো ৩ জন কারাগারে পবিত্র আশুরা আজ সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা আর নেই আরও ২৯৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত পবিত্র আশুরা ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সাহস জোগাবে-প্রধান উপদেষ্টা ত্রয়োদশ নির্বাচন নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ৩ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা ডিএসসিসির মৌলভীবাজার সীমান্তে ১০ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণ সময়ের দাবি : বিএসআরইএ ঢাকা বিভাগে ৫৬ সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা খেলাফত মজলিসের এ কে আজাদের বাড়িতে হামলা: ১৬ বিএনপি নেতার নামে মামলা রাজধানীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার তিন শূন্য অর্জনে কাজ করতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার অগ্রিম কর বাড়ায় গণপরিবহনে জটিলতা বাড়ার শঙ্কা ক্যালিফোর্নিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ দাবানল গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬১৩: জাতিসংঘ প্রাচীরে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গেল গাড়ি, বরসহ নিহত ৮ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ পৌঁছেছে ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলারে
হাইকোর্টে ডিএনএ প্রতিবেদন

সেই মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী

  • আপলোড সময় : ০৫-১২-২০২৪ ১২:০৩:৩৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-১২-২০২৪ ১২:০৩:৩৩ অপরাহ্ন
সেই মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী
বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে করা ডিএনএ টেস্ট তার পরিবারের সঙ্গে মিলেছে। এখন পরিবারের পছন্দমতো কবরস্থানে হারিছ চৌধুরীর লাশ দাফন করা যাবে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পর গতকাল বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর সাভারের জামিয়া খাতামুন নাবিয়্যিন মাদ্রাসার কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান নামে কবর দেওয়া আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্ট করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সিআইডির পরিচালকের প্রতি এ আদেশ দেওয়া হয়। তার মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহদীন চৌধুরী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন রেদওয়ান আহমেদ রানজীব ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। রুলে সাভারের জামিয়া খাতামুন নাবিয়্যিন মাদ্রাসার কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান নামে কবর দেওয়া আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্ট করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর আবুল হারিছ চৌধুরীর নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে না ও তার নামে থাকা ইন্টারপোল রেড নোটিশ কেন প্রত্যাহার করা হবে না এবং তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নিজ জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার যথাযথ সম্মান দিয়ে কেন কবরস্থ করা হবে না; এসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল (জন্ম ও মৃত্যু), সিআইডির পরিচালক, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ও সাভার মডেল থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ২০২১ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ওই সালের ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরী ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে ঢাকার সাভারের জালালাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়ে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে বলেন, সদ্য বিদায়ী স্বৈরাচারী সরকার ওদের গোয়েন্দা বিভাগ একটা নাটক রচনা করে বাবার মৃত্যুকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মিডিয়া একটার পর একটা রিপোর্ট করেছে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। এটা নিয়ে যেন কখনও প্রশ্ন না ওঠে, সেটা ডিটারমিন করার জন্য এ রিট করেছি। আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ থাকবে- সন্তান হিসেবে এটা খুব মর্মান্তিক, কষ্টদায়ক। এখনও মানুষ জিজ্ঞেস করে, সত্যিই কি মারা গেছেন? আমাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাই এটা শেষ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত নিরাশ করেননি। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর হারিছ চৌধুরী সস্ত্রীক তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দর্পনগরে যান। রাত ১২টার পর তার ব্যক্তিগত সহকারী আতিক মোবাইল ফোনে জানান, ঢাকায় বিএনপি নেতাদের বাসভবনে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। কয়েক ঘণ্টা পর যৌথ বাহিনী হারিছের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু তার আগেই তিনি সটকে পড়েছিলেন। কিছুদিন সিলেটে এখানে-ওখানে লুকিয়ে থাকার পর ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে ভারতে চলে যান। ভারতের আসামের করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরে তার নানাবাড়ি। সেখানেই তিনি ওঠেন। সেখান থেকেই বিদেশে যাতায়াত করতেন। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি হয়। পরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালে যাবজ্জীবন সাজা হয় হারিছ চৌধুরীর। একই বছর ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হারিছ চৌধুরীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। বর্তমানে সেই মামলা বিচারাধীন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স